সীমান্তে গুলিতে যুবকের মৃত্যু, লাশ ফেরত না পাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পচাভাণ্ডার এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে সবুজ (২৫) ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মাঝে ৮৬৪/৮৬৫ পিলারের মধ্যবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ঘটনাটির পরপরই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সবুজের মরদেহ নিয়ে গেছে এবং এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে তা ফেরত দেয়নি। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সবুজ সেই সময় গরু পারাপারের উদ্দেশ্যে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফ সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ, বাড়িতে পড়লো গুলি
হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারে গুলিতে সবুজ মারা গেছেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ—“পাখির মতো মানুষ মারার এই ঘটনা কোনোভাবেই মানবিক আচরণ হতে পারে না। সীমান্তে এ ধরনের মৃত্যু কবে থামবে—সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এ ঘটনার পর সীমান্ত এলাকা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সবুজের পরিবার চরম শোক ও ক্ষোভে ভেঙে পড়েছে। তাঁরা মরদেহ দ্রুত ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্মপাশায় বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫ উদযাপিত
এলাকার জনগণও ঘটনার সঠিক তদন্ত, দায়ীদের শনাক্তকরণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের কথায়, “নিরীহ মানুষের জীবন যেন আর এভাবে সীমান্তে ঝরে না যায়।”
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।





