সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত সবুজের মরদেহ হস্তান্তর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পচাভাণ্ডার এলাকার সবুজ (২৫) ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে আন্তর্জাতিক পিলার ৮৬৪/৮৬৫-এর মধ্যবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।
গুলির শব্দে সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক, স্থানীয়দের অভিযোগ—মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ ঘটনার রাতেই সীমান্ত এলাকায় আকস্মিক গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে যে গরু পারাপারের উদ্দেশ্যে সীমান্তে যাওয়া সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং দীর্ঘ সময় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেয়নি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন ১০ ডিগ্রি, শীতের তীব্রতা বেড়েছে
সবুজের এমন মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোক ও ক্ষোভ। স্থানীয় মানুষের দাবি—“সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। বছরের পর বছর ধরে বিচারহীনতার কারণেই এমন মৃত্যু থামছে না।”
১৬ ঘণ্টা পর মরদেহ হস্তান্তর: সীমান্তের হিমেল রাতে শোকের ভার দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজিরগাছমাণী বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সংলগ্ন ব্রিটিশরোড সীমান্ত পিলার ৮৬৮/৩–এস-এর কাছে ভারতীয় পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে সবুজের মরদেহ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মরদেহটি নিহতের বড় ভাই আরিফ হাসানের কাছে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: নগরকান্দায় পবিত্র কাবা শরিফ অবমাননার প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পাটগ্রাম থানা পুলিশ, বিজিবি সদস্য এবং নিহতের পরিবারের স্বজনরা। প্রিয়জনের মরদেহ ফিরে পেলেও পরিবার ও এলাকায় বাড়তি শোকের আবহ নেমে আসে।
প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নেই, তদন্তের অপেক্ষায় সবাই। এ ঘটনায় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন বা বিজিবি। তবে তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসীরা বলেন, সীমান্তে প্রাণহানি রোধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বয় বাড়ানো জরুরি। তাদের মন্তব্য—“সীমান্তে প্রতিটি মৃত্যু শুধু একটি পরিবারকে নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষকে শোক ও আতঙ্কে নিমজ্জিত করে।





