বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

দিনাজপুরে স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধায় ধানের বাম্পার ফলন

Sadek Ali
ফারুক হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ন, ২০ মে ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪০ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দিনাজপুরে স্বল্পমূল্যে শেচ সুবিধা প্রদান করায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। এতে করে কৃষি ও কৃষক কৃষি বিভাকে বিশেষ অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ। 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪১৭ হেক্টর । এই আবাদি জমির পুরোটাই সেচের আওতায় আনা হয়েছে। জেলায় ১লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৪৭ টি পরিবার সেচ সুবিধা গ্রহণ করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে। এক একর জমিতে সেচ সুবিধা নিতে ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয় কৃষকদের। এই স্বল্প টাকায় সেচ সুবিধা পেয়ে কৃষকেরা বেশ খুশি। 

আরও পড়ুন: আগাম সবজি চাষে চরাঞ্চলে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা যায়, দিনাজপুর জেলায় গভীর নলকূপ রয়েছে ১৬৬৮ টি । নদীতে লো লিফট পাম্প স্থাপন করা হয়েছে ১৩৭ টি। 

সেচের গভীর নলকূপ হতে খাবার পানি সরবরাহ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে ১৩৭ টি। খাবার পানি স্থাপনা হতে উপকার ভোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৩৯১ জন। বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা দিয়েছে ৭৭ হাজার ৮২৭ হেক্টোর জমিতে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ খাস খাল খাডী পুন:খনন,করেছে ১২৭ কি; মিটার। খাস মজা পুকুর পূন: খনন করেছেন ৪১ টি। ফসল ও গবাদি পশু পারাপারের লক্ষ্যে ব্রীজ নির্মাণ করেছেন ১৪ টি। এতে পারাপারের সুবিধা হয়েছে গ্রামবাসীর। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ক্রস ড্যাম নির্মাণ করেছেন ১২টি । বনায়ন বনজ ফলজ ও ঔষধি  গাছ রোপন করেছেন ৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬২৫ টি। কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ৫ হাজার ১০০ জন। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরল জোন এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, বিরল সহ দিনাজপুর জেলায় স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা দিয়ে আসছেন কৃষকদেরকে। শুধু বোরো মৌসুমে নয়, ভুট্টা সহ বিভিন্ন ধরনের আবাদে সেচ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: জীবননগরে আমন ও রবি মৌসুমে সারের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষক

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিএমডিএ সেচ সুবিধার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে। দিনাজপুর জেলার কৃষকদের কাছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এখন একটি আস্থার নাম। প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, বিরল সহ দিনাজপুর জেলায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং বজ্রপাত রোধে প্রায় ২ লক্ষ তাল গাছ লাগানো হয়েছে। বিরল উপজেলার ধুকুরঝাডী থেকে বিরল পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে তালগাছ সোভা পাচ্ছে। বিরল ছাড়াও দিনাজপুরের ১৩ উপজেলাতেই  তালগাছ লাগানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তালগাছ লাগানোর প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে।