আশ্রয়হীন হাজারো মানুষ

ভোরের আলোয় স্পষ্ট হলো কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভোরের আলো উঠতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রাজধানীর কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা। সারারাত আগুনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো সকালে ফিরে দেখেছেন—তাদের জীবনের সব সঞ্চয়, ঘর-বাড়ি ও সম্পদ মুহূর্তেই ছাই হয়ে গেছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।

বুধবার সকাল থেকে বস্তির বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখা যায়—যারা পুরো রাত নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা সকালে ফিরে এসেছেন নিজের ঘরের ধ্বংসস্তূপে। অনেকে ভাঙাচোরা বাঁশ, টিন বা পুড়ে যাওয়া লোহার টুকরোর নিচে খুঁজছেন—কিছু কি অবশিষ্ট আছে! বেশিরভাগেরই হাতে উঠছে কেবল ছাই-গলা বস্তু।

আরও পড়ুন: মতিঝিলে ওএমএস পণ্য কালোবাজারির সময় ডিলারসহ দুজন আটক

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ পৌঁছেছে ঠিকই, তবে তা নিতান্তই অপ্রতুল। তাদের ভাষায়, “চারদিকে শুধু কংক্রিট আর ছাই—এমন দৃশ্য কখনো দেখিনি। সব শেষ হয়ে গেছে।” সামনে কীভাবে দিন চলবে, সেই দুশ্চিন্তায় অস্থির তারা।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ঘিঞ্জি এলাকা ও তীব্র পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। মোট ১৯টি ইউনিট কাজ করেছে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীর মগবাজার ও তেজগাঁওয়ে আগুন

আগুনের সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা দমকলযুদ্ধের পর আগুন নেভানো গেলেও তার কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।