মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: দুই মামলায় দুইজন রিমান্ডে

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ন, ১১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৮:০৫ পূর্বাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা ও অস্ত্র মামলায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: দুর্ধর্ষ ধাক্কামারা চক্রের দুই নারী সদস্য গ্রেফতার

পরদিন শুক্রবার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি হলেন লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯), যিনি মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরও দুইজন গ্রেপ্তার, মোট গ্রেপ্তার ৭

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি পুলিশ একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করে।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড এবং অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন মহিনের ১০ দিনের রিমান্ড এবং এসআই মো. মনির রবিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

তবে শুনানিতে আদালত মহিনের পাঁচ দিন এবং রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড কার্যকর শুরু হবে শুক্রবার থেকে।

কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, “মিটফোর্ড এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বিদ্যমান আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।”

সেদিন নাম প্রকাশ না করে এক ব্যবসায়ী জানান, “মিটফোর্ড এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের অবৈধ বেচাকেনা চলে। এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোহাগের সঙ্গে আরেক ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল।”

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।