১৮৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গ্রেপ্তার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৮ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিকেলে আদালতে হাজির করা হয় আসামিকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জালাল তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন আসামিপক্ষে জামিনের কোনো আবেদন করা হয়নি। সকালে ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

আরও পড়ুন: শীশা বারে হত‍্যাকাণ্ডের জেরে চাঁদার হার দ্বিগুন করেছেন বনানী থানার ওসি

এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) ওবায়েদ উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংক আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ার।

আরও পড়ুন: এসপি হতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষের অভিযোগে পুলিশ সুপারকে দণ্ড

দুদক সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করা হয়।

নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা এবং হিসাব পরিচালনার জন্য জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের বিপুল ঋণ মঞ্জুরি ও পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করে, সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদসহ মোট ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করা হয়।