৫ কোটি ডলার ঋণ বাংলাদেশকে ফেরত দিলো শ্রীলঙ্কা

Babul khandakar
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১২:২১ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ঋণের ৫ কোটি (৫০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে  শ্রীলঙ্কা। সোমবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ৫ কোটি ডলারের একটি কিস্তি আমরা পেয়েছি। চলতি মাসের শেষের দিকে আরও একটি কিস্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যে ঋণের পুরো অর্থ তারা পরিশোধ করবে। তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় ২০২১ সালে ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু যথাসময়ে ওই ঋণ ফেরত দিতে পারেনি; কয়েক দফা সময় চায় তারা। উপায় না থাকায় বাংলাদেশও কয়েক দফা সময় দেয়। সবশেষ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ওই বছরের ৩০ অক্টোবর। এরপর ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় নভেম্বরে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট বা লাইবর যোগ করে দেড় শতাংশ সুদ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সেই সুদ নিয়মিত পরিশোধ করছে শ্রীলঙ্কা।  

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

প্রকৃত রিজার্ভ ২৩.১৪ বিলিয়ন ডলার

সবশেষ ২৬ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯৩৮ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন) ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশে প্রকৃত রিজার্ভের ৬২৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে ৪ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব খাতে বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬৩৭ কোটি ডলার দেওয়া আছে, যা বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।