কোরবানি ঈদের বাকি এক মাস, এরমধ্যেই বেড়েছে মসলার দাম

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ন, ১৪ মে ২০২৪ | আপডেট: ৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, ১৫ মে ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কোরবানি ঈদ এখনও এক মাসেরও বেশি দূরে। কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম।

এক বছরের ব্যবধানে শুধু এলাচের দামই বেড়েছে ৬০ ভাগেরও বেশি। ঢাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ মানভেদে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির তথ্য মতে, গত বছরের একই এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ। বেড়েছে অন্যান্য মসলার দামও।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

ব্যবসায়ীরা ডলার সংকটসহ নানা অজুহাত দিচ্ছেন। ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় বাড়ছে দাম।

ঢাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ মানভেদে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির তথ্য মতে, গত বছরের একই এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ। বেড়েছে অন্যান্য মসলার দামও। 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

একজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘ডিসেম্বরে প্রতিকেজি এলাচ আমরা ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এটার এখন দাম ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা। মানে কেজিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ টাকার মতো বেড়েছে।’ 

রাজধানীর পাইকারি বাজারে দেখা যায়, এলাচের কেজি সাড়ে ৩ হাজার টাকা, জিরা ৬৮০, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০, দারুচিনি ৪০০ টাকা। চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার, খাতুনগঞ্জেও দাম বাড়তি। 

রাজধানীর এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘মুলত এলসি সমস্যার কারণেই দামটা বেড়েছে। অনেকেই এলসি কমিয়ে দিয়েছেন। এরমধ্যে ডলারের দামও হঠাৎ বেড়ে গেলো।’ 

আমদানি করা পাইকারি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগেও আমরা দেখেছি এলাচের বাজার প্রায় ৪ হাজার থেকে ৪১০০ টাকায় চলে গিয়েছে। এরপর দুই তিনদিনের ব্যবধানে এটি কমে ৩৫০০ টাকায় চলে এসেছে। গত দুদিন ধরে আবার এটা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে ৩৭০০ থেকে ৩৮০০ টাকা হয়েছে।’  

হঠাৎ এই দাম বৃদ্ধির জন্য ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ এলসি সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মসলাজাত পণ্যের আমদানিতে সরকারের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির। 

বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘যখন বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাবে, তখন ডিউটি (শুল্ক) কমে যাবে। তাহলে এটা ব্যালেন্স হবে, মানুষ খেতে পারবে। কিন্তু সরকার তো পাল্লা দিয়ে আরও বাড়ায়। এটার দাম বেড়েছে, এটার ডিউটি বাড়া। তারপর ট্যারিফের নামে একটা ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে।’