ভারত থেকে ২০০টি বগি কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ন, ২০ মে ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ে আজ সোমবার (২০ মে) রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, রেলওয়ে ২০০টি বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কিনবে।এই বগিগুলো কেনার জন্য মোট এক হাজার ২০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, আরআইটিইএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে ২০১৬টি ক্যারেজ এবং ৩০৯৫টি ওয়াগন রয়েছে। সম্প্রতি পদ্মা রেলওয়ে সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ট্রেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুরাতন এবং বেশি বয়সী কোচগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য নতুন ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার কোচগুলো প্রয়োজন হবে।

তবে চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এটা করলে আমাদের সুবিধা হতো। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারতাম। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দিতে পারে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, কোচগুলো যুক্ত হলে রেলের গতি বেড়ে যেবে। এতে করে যাত্রীসেবা আরও বাড়বে।

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতিসম্পন্ন ও পরিবেশবান্ধব। বগির ছাদে এসি থাকবে; অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে বগিগুলোতে। পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে এই বগিগুলো।