আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমেছে

বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৫:১২ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোর মধ্যে আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক, পেঁয়াজে ৫ শতাংশ ও কীটনাশকে ২০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

প্রজ্ঞাপনে আলুতে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া আগে এ পণ্যটির ওপর প্রযোজ্য থাকা ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটিতে মোট শুল্ক কমানো হলো ১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: অর্থবছরের শুরুতেই সুবাতাস রেমিট্যান্সে, এলো ৩০ হাজার কোটি টাকা

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অন্যদিকে কীটনাশকের ওপরে প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটির ওপর সমুদয় রেগুলেটরি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে যা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।

এতে বলা হয়, এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আলু ও পেঁয়াজের সিংহভাগ চাহিদা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে মেটানো হয়। আমদানি শুল্কহার কম থাকলে দেশীয় উৎপাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া অব্যাহত রাখতে এই শুল্কহ্রাস আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এনবিআরের এই ব্যবস্থার কারণে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে এনবিআর আশাবাদী। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে ১১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব বিবেচনায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল ট্যারিফ কমিশন।