আবাসিকতা নিয়ে উত্তপ্ত কুবির নজরুল হল

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের সিট বণ্টনের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় হলে মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা হল প্রভোস্টের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে অবস্থানরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিক করতে প্রশাসনিক নোটিশ ছাড়াই প্রভোস্টের নির্দেশে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আরও অভিযোগ করা হয়, অনিয়ম করে এক সিটে দুজন করে থাকার সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিয়েছেন। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হলে জায়গা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তাদের দাবি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন ছাত্রদল প্রার্থী আবিদুল ইসলাম
হলের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাজমুল হৃদয় বলেন, "আগের প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে আমরা যারা হলে অবস্থান করছিলাম, তাদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। এখন এই প্রশাসন আমাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। ১২ থেকে ১৭তম ব্যাচের সবাইকে এই টাকা দিতে হবে। এটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়; বরং প্রভোস্টের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, যা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য আমরা তার পদত্যাগ চাই। তিনি আওয়ামী লীগের দোসর এবং দলের সমর্থক হওয়ায় আগের প্রশাসন তাকে নিয়োগ দিয়েছিল। তাই আমরা তাকে নজরুল হলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।"
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে হল প্রভোস্ট মোহাম্মদ নাসির হোসাইন বলেন, হল প্রভোস্টদের মিটিংয়ে হলে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক নোটিশ প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব ছিল। আগামী ২৫ তারিখ প্রশাসনিকভাবে একটি নোটিশ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি, তাদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে তা জানাতে পারে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।"
আরও পড়ুন: পাঁচ হলে ডাকসু নির্বাচনের ফল, শিবির সমর্থিত প্যানেল এগিয়ে
পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি ঘটেছে। তবে পদত্যাগের বিষয়ে আমার সাথে আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি। আশা করি, আলোচনা হলে এসব ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। তবে যদি মনে হয় আমি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে পারছি না, তাহলে আমি পদত্যাগ করব।