রাতভর ৬ দফা দাবিতে উত্তাল মাইলস্টোন স্কুল, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর রাতভর উত্তাল ছিল উত্তরা। গভীর রাতে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সোয়া ৪টা) আন্দোলন অব্যাহত ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নিহতদের সঠিক সংখ্যা জানি না। রাত ২টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু জানানো হয়নি। উদ্ধারকাজে স্বচ্ছতা নেই, পরিবারের সদস্যরাও ভেতরে যেতে পারছেন না। তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি।
আরও পড়ুন: জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির মডেল ছাত্রশিবির : সাদিক কায়েম
এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস দেখাচ্ছি। বিচারহীনতা, অবহেলা ও দমননীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। কাল (মঙ্গলবার) দিনভর আন্দোলন চলবে।”
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি:
আরও পড়ুন: ঢাবিতে স্নাতক ভর্তি আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর থেকে
১. নিহতদের সঠিক নাম ও সংখ্যা প্রকাশ
২. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ
৩. শিক্ষকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অসদাচরণের জন্য প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা
৪. প্রতিটি নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো প্লেন বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু
৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও কেন্দ্র পুনর্বিন্যাস করে মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্কুল ভবন ও বিমানটিতে।
ওই সময়ে ক্লাস চলাকালীন থাকায় বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন। রাত সোয়া ৪টা পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে, ২৫ জন শিশু, একজন শিক্ষক এবং একজন পাইলটসহ মোট ২৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৮ জন। অনেকেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।