ডাকসুতে পাঁচটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৪০ অপরাহ্ন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩৩ অপরাহ্ন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি-জিএস-এজিএসসহ মোট ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বাকি পাঁচ পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পর ঢাবির সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল

ভিপি পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ১৪,০৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পান ৫,৭০৮ ভোট।

জিএস পদে এসএম ফরহাদ জয়ী হয়েছেন ১০,৭৯৪ ভোটে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের তানভীর বারী হামীম পান ৫,২৮৩ ভোট।

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী শিবির সমর্থিত তামান্না

এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত মুহা. মহিউদ্দীন খান পান ১১,৭৭২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৫,০৬৪ ভোট।

এছাড়া আরও ২০ পদে বিজয়ী হয়েছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ফাতেমা তাসনিম জুমা (১০,৬৩১ ভোট), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ইকবাল হায়দার (৭,৮৩৩ ভোট), আন্তর্জাতিক সম্পাদক: খান জসিম (৯,৭০৬ ভোট), ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: আসিফ আবদুল্লাহ (৯,০৬১ ভোট), ক্রীড়া সম্পাদক: আরমান হোসাইন (৭,২৫৫ ভোট), মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক: সাখাওয়াত জাকারিয়া (১১,৭৪৭ ভোট), ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: মাজহারুল ইসলাম (৯,৩৪৪ ভোট)

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়:

পাঁচ পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা হলেন—সমাজসেবা সম্পাদক: যুবাইর বিন নেছারী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: সানজিদা আহমেদ তন্বী, সদস্য: হেমা চাকমা, সদস্য: উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া

ভোটগ্রহণ ও পরিবেশ:

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ হয়। বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে ডাকসুর ৩৮তম নির্বাচন।

এবার ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮,৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০,৯১৫ জন ভোটার ছিলেন।