ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালিত: নিহতদের স্মরণে নানা কর্মসূচি

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৭:১৯ অপরাহ্ন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে (বুধবার) ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শোক দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন: দশ কর্মদিবসের মধ্যে পাশ হবে জকসু নীতিমালা

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভি কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: বহুল প্রতিক্ষিত চাকসু নির্বাচন আজ : ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, প্রাক্তন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অজয় কুমার দাস, ড. জগদীশ চন্দ্র শুক্লদাস, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস এস এম ফরহাদ, জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব কুমার বর্মণ ও জিএস সুদীপ্ত প্রামাণিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “১৯৮৫ সালের মর্মান্তিক ঘটনাটি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। সেই ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে এবং সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে একনেকে অনুমোদিত বৃহৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার মিলিত প্রচেষ্টাতেই এ প্রতিষ্ঠান আরও আধুনিক ও অগ্রসর হবে।”

শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নিহতদের প্রতিকৃতি ও তথ্যপ্রমাণাদি প্রদর্শন করা হয়।

বাদ মাগরিব বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ ‘মসজিদুল জামিআ’সহ সকল হল মসজিদে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ওই রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ২৬ জন ছাত্র, ১৪ জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০ জন নিহত হন এবং বহু শিক্ষার্থী ও অতিথি আহত হন।