ঢাবি শিক্ষিকার ছবি বিকৃতি ও মানহানির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:৪২ অপরাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শেহহরীন আমিন ভূঁইয়া তার ব্যক্তিগত ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীনভাবে প্রচারের অভিযোগে শাহবাগ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। সোমবার (৩ রা নভেম্বর) দুপুর ১২ঃ০০ টায় ডাকসুর আইন বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া সহ নির্বাচিত ডাকসু প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি এই এজাহার দায়ের করেন।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, একাধিক ব্যক্তি তার ছবি সম্পাদনা করে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্য করছেন। এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে আহত মামুনের মাথায় সফলভাবে খুলি প্রতিস্থাপন

শেহহরীন আমিন ভূঁইয়া অভিযোগে বলেন, প্রথম বিবাদী মুজতবা খন্দকার, সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট, তার ফেসবুক একাউন্টে তার ছবি অশালীনভাবে সম্পাদনা করে পোস্ট করেছেন এবং তাতে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি” — এই ক্যাপশন ব্যবহার করেন।

দ্বিতীয় বিবাদী মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, লেখক ও এক্টিভিস্ট, তাকে “যৌন-কল্পনার রসদ” বলে আখ্যা দিয়ে একই ছবি শেয়ার করেন এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলীয় সংকীর্ণতা পরিহারের আহ্বান ডাকসু ভিপির

তৃতীয় বিবাদী নিরব হোসাইন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পোস্টে তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

চতুর্থ বিবাদী আশফাক হোসাইন ইভান তার ফেসবুক প্রোফাইলে শিক্ষিকার সম্পাদিত অশালীন ছবি প্রকাশ করেন।

এছাড়া অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বিবাদীর বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ করেন যে, তারা বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে নিয়মিতভাবে তার ছবি বিকৃত ও মানহানিকর মন্তব্য করছেন।

ঘটনাটি প্রথম তিনি দেখতে পান ২ নভেম্বর সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে, যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি থানায় এজাহার দায়ের করেন।

তিনি বিবাদীদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।