ঢাবির বিভিন্ন হল পরিদর্শনে বুয়েট বিশেষজ্ঞ দল, ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবনগুলোতে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়নে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ সদস্যের নেতৃত্বে প্রকৌশল দলের পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদের নেতৃত্বে দলটি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং দুপুরে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো হলই পরিদর্শনের আওতায় আনা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকায় দিনব্যাপী অ্যালামনাই মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, ডাকসু এবং হল সংসদের প্রতিনিধিরা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন। দলটি কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে, যা পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রতিবেদনে ঝুঁকির প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট হলের শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি হল পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা
ঢাবি সূত্র জানায়, ভূমিকম্পের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলসহ পুরাতন ভবনগুলো দ্রুত পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, বুয়েটের BRTC কর্তৃক ২০০৮ ও ২০১৫ সালে প্রণীত কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে মুহসীন হলকে নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্বের প্রতিবেদনে হলটি পরিত্যক্ত ঘোষণার যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম ভূমিকম্পে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন হলের পরিস্থিতিও সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত এগোচ্ছে
ঢাবির চলমান ও আসন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কেও সভায় আপডেট জানানো হয়। ১৪৯ কোটি টাকার মেরামত ও সংস্কার প্রকল্পের কাজ আগামী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। এর অংশ হিসেবে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে চলমান ১৭৫টি রুমের সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ৮শ’ ৪১ কোটি টাকার ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’-এর গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহও দ্রুত এগোচ্ছে। ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, জলাধার সংস্কার, সার্ভিস লাইন মেরামতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথম অর্থবছরের জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ই-জিপি পোর্টালে পরামর্শক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।





