‘বিতর্কিত’ তিন নির্বাচনের কর্মকর্তা তথ্য চেয়ে ডিসিদের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ‘বিতর্কিত’ তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খান কর্তৃক দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করে। মামলায় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ৪৫ হাজার ৯৮ ভোটকেন্দ্র, দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা
পিবিআই তদন্তের স্বার্থে ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ২০ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দশম (২০১৪), একাদশ (২০১৮) ও দ্বাদশ (২০২৪) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনে জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ‘না ভোট’ থাকছে: নির্বাচন কমিশনার
প্রসঙ্গত, সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা প্রশাসক (ডিসি), সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়োজিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
বিএনপির দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের এ কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। মামলায় ভোট কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক দুই সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।