যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্দুক হামলা, নিহত ২২
যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের লিউইস্টনে একাধিক স্থানে বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৫০ থেকে ৬০ জন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলায় ৬ বাংলাদেশি নিহত, যুদ্ধাপরাধের সতর্কবার্তা গুতেরেসের
গণমাধ্যমটি জানায়, একটি বার এবং ওয়ালমার্টের ডিসট্রিবিউশন সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে চালানো এ বন্দুক হামলার ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এতে ৫০-৬০ জন গুলিবিদ্ধ বা আহত হয়েছেন। যদিও ঠিক কতজন হতাহত হয়েছে, এখন পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়।
দ্য সান সাময়িকীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, লিউসটন পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, একটি বার, রেস্তোরাঁ, ওয়ালমার্টের বিতরণকেন্দ্র ও ব্যবসায়িক কেন্দ্রে এ হামলা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ ঘটনা জানানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন বলে মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলা, নিহত অন্তত ১০
স্থানীয় পুলিশ অফিসের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ‘সন্দেহভাজন’ এক হামলাকারী এখনও পলাতক রয়েছে। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই হামলার সঙ্গে অন্তত দুই ব্যক্তি জড়িত। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অ্যানড্রোসকগিন কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় সন্দেহভাজন দুজন হামলাকারীর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে। কাউন্টির শেরিফ হামলাকারীকে শনাক্ত করতে জনগণের সহায়তা চেয়েছেন। ছবিতে দেখা গেছে, ওই হামলাকারীর দাড়ি রয়েছে। তিনি ফুলহাতা শার্ট ও জিনস পরে আছেন। রাইফেল হাতে তিনি গুলি করার মতো ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন।
হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে জানিয়ে, ঘটনার তদন্ত চলাকালীন ওই এলাকার সব দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছে পুলিশ। এছাড়া মেইন অঙ্গরাজ্য পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে।
লিউইস্টন পোর্টল্যান্ড থেকে প্রায় ৩৬ মাইল উত্তরে অবস্থিত এবং রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
এদিকে, গোলাগুলির ঘটনার পর এবং হামলাকারী পলাতক থাকায় লিউইস্টনের আশপাশের দু’একটি শহরেও সতর্কতা জারি এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে।





