গাজায় যুদ্ধবিরতি: মুক্ত হলো আরও ৩০ ফিলিস্তিনি ও ১০ ইসরাইলি

গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। শেষমুহূর্তে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে আরও ৩০ বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে ইসরাইল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে তাদের হাতে জিম্মি আরও ১০ ইসরাইলিকে। এ ছাড়া দুই বিদেশি নাগরিককেও মুক্ত করে দিয়েছে হামাস।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩০ নারী ও শিশু। খবর আলজাজিরার।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান
এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধ বিরতিতে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরাইল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে অর্ধশতাধিক ইসরাইলিকে। ফিলিস্তিনিরা আশা প্রকাশ করে যে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।
অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে একটি বড় অভিযানের সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী হাসপাতাল ঘেরাও করেছে এবং মেডিকেল টিমের কাজ অবরুদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্তসংলগ্ন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়। হামলার দিন হামাস ইসরাইল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার পর ওই দিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তাদের অবিরাম হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ইসরাইলি বাহিনীর টানা ৪৮ দিন হামলার পর কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরাইল।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়াতে রাজি হয়। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ।