নওয়াজের সঙ্গে জোটে যেতে কী শর্ত দিল পিপিপি?

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হয়ে গেল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফ ইতোমধ্যে সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট গঠনের তৎপরতাও শুরু করেছেন।
পিএমএলএন চাইছে, নতুন জোট গঠিত হলে সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ।
আরও পড়ুন: জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা
কিন্তু ভোটের হিসেবে তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জানিয়েছে, নতুন জোটে যেতে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে দলটির। পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ শুক্রবার জিও নিউজকে বলেন, ‘নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এজন্যই জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছেন…. জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা তাকে (নওয়াজ) প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।’
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে একটি ব্যতীত বাকি সবগুলোতে নির্বাচনী ভোটগ্রহণ হয়েছে বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে কমিশন। এরমধ্যে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। আর নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৭৩টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন। এছাড়া জমিয়ত উলামা-ই ইসলাম দুটি ও অন্যরা পেয়েছে ৩৩টি আসন।
জিও নিউজকে এ প্রসঙ্গে খুরশীদ শাহ বলেন, ‘এখনও তো সবগুলো আসনের ফলাফল আসেনি। তার (নওয়াজ) এত ব্যস্ততা কীসের?.... যাই হোক, আমরা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী নেতা ছিলেন খুরশিদ শাহ। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফ।
সূত্র : জিও নিউজ