৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন

গত মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন ভ্লাদিমির পুতিন। এবার টানা ৫ম বারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। খবর এএফপির।
আরও পড়ুন: গাজায় অনাহার-অপুষ্টিতে শিশুসহ আরও ১১ জনের মৃত্যু
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশটির সব সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে। ৭১ বছর বয়সী এই নেতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘিরে ব্যাপক তিক্ততা থাকলেও অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের। এই তিন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে যোগদানের মধ্যে দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। একই বছর দেশটির পূর্ণ ক্ষমতা পান তিনি। পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। এরপর ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।
রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি না থাকায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন। এরপর ২০১২ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নীত করেন এবং দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি সংবিধান থেকে রহিত করেন। সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন টানা ২৮ বছর রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্ট। এবার শপথ গ্রহণের পর মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারলে স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন পুতিন।