নবীনগরে ব্রি ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

Sadek Ali
ফরিদ আহমেদ, নবীনগর
প্রকাশিত: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৪৭ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর গ্রামের বাড়িখলা গ্রামে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় শতাধিক কৃষকদের উপস্থিতিতে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন ধানের জাত ব্রি ধান-১০৩ প্রদর্শনীর নমুনা শস্য কর্তন এবং মাঠ দিবস  বুধবার (২৬ নভেম্বর)অনুষ্ঠিত হয়। নতুন এ জাতটি চলতি আমন ২০২৫ মওসুমে নবীনগর উপজেলায় বিভিন্ন ব্লকে এক একর করে মোট ৪০ একর জমিতে প্রদর্শনী স্থাপন করা হয় যার প্রতিটি জমির ধান খুব ভালো হয়েছে এবং জমির ধান কর্তন চলমান রয়েছে। লাউর ফতেহপুরের কৃষক এর জমিতে প্রায় এক একর জমিতে ব্রি ধান১০৩ চাষ করেন এবং উক্ত জমির ধান কর্তন সম্পন্ন করা হয় যাতে ২০ বর্গমিটারে শুকনা (১৪ % আর্দ্রতায়) ১২ কেজি ধান পাওয়া গিয়েছে অর্থাৎ হেক্টর প্রতি ফলন ৬.১ টন/হেক্টর অর্থাৎ বিঘা প্রতি ২০.৫ মন।  উক্ত ফলনে প্রদর্শনী কৃষকসহ উপস্থিত সকল কৃষক ভাইয়েরা সকলেই খুব খুশি এবং পরবর্তী মওসুমে ব্রি ধান১০৩ চাষে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার ড. শিলা প্রামানিক।

আরও পড়ুন: কৃষক দল নেতা খন্দকার নাসিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারেক রহমানের কাছে মহিলা দলনেত্রীর আবেদন

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  উপপরিচালক ড. মোস্তফা এমরান হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি,। কী নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার ব্রি এর উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশীদ। 

প্রধান অতিথি ড. মোস্তফা এমরান হোসেন জানান, আমন মৌসুমে এখন পর্যন্ত সেরা জাত ব্রিধান ১০৩। উৎপাদন যেমন বেশি, চালের কোয়ালিটি অনেক ভালো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জোড়ে এই জাতের আবাদি জমি বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহআলম মজুমদার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার পরিমল চন্দ্র দত্ত, উপসহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ, উক্ত গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, শতাধিক কৃষক ও উক্ত ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় ৬৫ হেক্টর জমিতে ব্রিধান আবাদ হয়েছে। আগামী মৌসুমে ৫০০ হেক্টর আবাদের লক্ষ্যমাত্রার জন্য কৃষক পর্যায়ে বীজ রাখা হবে।