কাপাসিয়া পাইলটিয়ান ব্যাচ বন্ধু-৭৬'র বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি-১৯৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'বন্ধু-৭৬'র উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা সদর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন মঞ্জুর রশিদের বাড়ি আঙ্গিনায় অর্ধশতাধিক বন্ধুদের উপস্থিতিতে পরিচিতি পর্ব, পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
বন্ধুদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বিএসসি, আব্দুল কবির মাষ্টার, আব্দুল লতিফ, সম্ভুনাথ বনিক, সন্তোষ চন্দ্র দাস, মোঃ ওয়ালিউল্লাহ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ব্যাংকার সফিউদ্দিন মীর, মঞ্জুর রশিদ, পল্লী মডিউল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডাঃ রুহুল আমিন, আবুল হাসেম, সাইদুল হক, নূর মোহাম্মদ সরকার, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, জীবন ভৌমিক, নৃপতি সরকার, পরিমল চন্দ্র রায়, সৈয়দ সারোয়ার, আজহারুল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন বাদল, মোশারফ হোসেন, তোতা মিয়া প্রমূখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বন্ধু-৮৬'র সভাপতি সাংবাদিক এফ এম কামাল হোসেন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সরোওয়ার্দী, প্রভাষক জুনায়েদ হোসেন প্রমুখ।
পড়ালেখা শেষ করে অনেকেই চাকরি কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত জীবন পার করছে, কেউবা দূরপ্রবাসে। বয়সের ভারে অনেকেরই মাথার চুল গুলো সাদা বা পড়ে গিয়েছে। বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন যাবত অনেকেই তা অনুভব করছিলেন। অনেকেই আবার সাংসারিক হিসাব চুকিয়ে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন। বিচ্ছিন্ন হতে হতে সংখ্যায় কমে গেলেও ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে এক ভিন্ন পথ ধরেন ৭৬' ব্যাচের বন্ধুরা। আয়োজিত মিলনমেলায় এ সময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, ছবি তোলা, সেল্ফি, আড্ডা, গল্প-গানে মেতে উঠেন। ‘বন্ধুত্বের একতা, সম্প্রীতি ও সফলতা’ সেশনটির শিক্ষার্থীদের দেওয়া এই স্লোগানকে ধারণ করে সবার মধ্যে বন্ধুত্ব, আন্তরিকতা সৃষ্টির পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির তাগাদা দেন বন্ধুরা। এ ছাড়া প্রয়োজনে সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কিছু করার চেষ্টা নিয়েও বন্ধুত্বের বন্ধনটা সুদৃঢ় করতে মিলনমেলার আয়োজন করেছে বন্ধুরা। মিলনমেলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে যুক্ত হয় বন্ধুদের আড্ডায়। প্রায় অর্ধশতাধিক বন্ধুর আগমনে মঞ্জুর রশিদের বাড়ি প্রাঙ্গণে সেই পুরনো দিনের আড্ডায় ফিরে যান তারা। সবার আগ্রহ ও আন্তরিকতাকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন গ্রুপটির পরিকল্পনাকারী পাইলটিয়ান বন্ধুরা ।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
বন্ধুদের অনেকেই জানান, বন্ধুরা একে অপরের থেকে যেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই ও সবাই যেন বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি সেই চিন্তা থেকেই ফেইসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
এই মিলনমেলা আমাদের বন্ধুদের আন্তরিকতারই বহিঃপ্রকাশ। মিলনমেলার মধ্য দিয়ে আগামী দিনে আরো বড় পরিসরে শিক্ষার্থী বন্ধুদের একত্রিত করা হবে। বন্ধুত্বের একতা আর সম্প্রীতিটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। মিলনমেলায় এসে ভালো লাগার কথা জানান অনেকেই। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো ভিন্ন এক অনুভূতি। দীর্ঘদিন পর ছাত্র জীবনের আড্ডা মিস করতে চান না। তাই এখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই চলে এসেছে। সবাই বেশ সাড়া দিয়েছে। সবাই মিলে আড্ডা, গল্প, খাওয়া-দাওয়া করেছে। এই যেন সেই স্কুল জীবনেই ফিরে যাওয়ার অনূভুতি। বেশ ভালো সময় কেটেছে। ব্যক্তিস্বার্থ ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার বর্তমান বাস্তবতায় নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব আর ঐক্য চায় বন্ধু-৭৬'। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সংকটে বন্ধুদের পাশে দাঁড়ানোসহ সমাজ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে চায় তারা।





