আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানে আরও ৫০ জন নিহত

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির ফলে হওয়া আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৮ মে) দেশটির একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। গত সপ্তাহের বন্যার ক্ষতি এখনও তারা সামলে উঠতে পারেনি। তারমধ্যেই আবারও আকস্মিক বৃষ্টিতে বন্যা হলো আফগানিস্তানে। স্থানীয় পুলিশ বলছে, হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কৃষি জমির বিশাল অংশ প্লাবিত হয়েছে।
ঘোর প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বদ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শুক্রবার বন্যায় ঘোর প্রদেশের ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।’ সেন্ট্রাল ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মৌলভী আবদুল হাই জাইম বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের দুর্যোগে কতজন আহত হয়েছেন তার কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান
জাইমের মতে, প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহ-তে কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। চার হাজার বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে দুই হাজার দোকান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শত শত হেক্টর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে। বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ রয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বিপর্যয়
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল
গত সপ্তাহে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাঘলানে আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত রোববার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বাঘলানের বন্যায় কমপক্ষে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে, জীবিতদের কোনো বাড়ি নেই, জমি নেই এবং জীবিকার কোনো উৎস নেই।
ঘোর প্রদেশের নদীতে ভেসে যাওয়া মরদেহগুলো উদ্ধারের চেষ্টার সময় ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার’ কারণে গত বুধবার আফগান বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় অন্তত একজন নিহত হন ও ১২ জন আহত হয়।
জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। ২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে সাহায্য তহবিলের ঘাটতির মুখে পড়েছে আফগানিস্তান।