কারা হেফাজতে প্রতিশ্রুতিশীল জনশক্তি রপ্তানিকারক তরুণ ব্যবসায়ীর করুণ মৃত্যু, নেপথ্যে...

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কারা হেফাজতে প্রতিশ্রুতিশীল জনশক্তি রপ্তানিকারক তরুণ ব্যবসায়ীর করুণ মৃত্যু, নেপথ্যে... প্রবাসী কর্মী ও রাষ্ট্রকে জিম্মি করে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের হোতা ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপনের কর্মচারীর করা মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে মারা যান তরুণ ব্যবসায়ী আদনান খন্দকার। তিনি রাজ ওভারসিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

যে মামলায় তাকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানো হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তেমনি প্রশ্ন উঠছে মামলায় বর্ণিত এত বিপুল টাকার লেনদেন কীভাবে হলো তা নিয়েও। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, এই লেনদেনের নামে আদনান খন্দকারকে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকে দিয়ে হয়রানির টার্গেট করেছিলেন ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপন, যার বিরুদ্ধে চক্র গড়ে ও অনিয়মের মাধ্যমে কর্মী পাঠিয়ে মালয়েশিয়ার বাজার বাংলাদেশের জন্য বন্ধের কারণ হয় বারবার।

আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের 'গোপন বৈঠকে' অংশ: মেজর সাদিকুলের স্ত্রীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

২০২৪ সালের ২১ মে ব্যবসায়ী আদনান চেকের মাধ্যমে রুহুল আমিন স্বপনের কাছ থেকে ৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন— এমন অভিযোগ এনে ঘটনার ১৩ মাস পর গত ২ জুলাই ভাটারা থানায় ‘প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ এবং অপরাধমূলক ভয়ভীতি প্রদর্শনের’ মামলা করা হয় স্বপনের পক্ষে।

রুহুল আমিন স্বপন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম আশীর্বাদপুষ্ট ব্যবসায়ী বলে প্রচলিত আছে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে স্বপনও দেশ ছাড়েন। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের ঘোষণাপত্র দেওয়ার বৈধতা নেই: ফরহাদ মজহার

পলাতক স্বপন তার কর্মচারী মোহাম্মদ শাহ আজমকে দিয়ে আদনানের বিরুদ্ধে মামলাটি করান। এ ধরনের ঘটনায় মামলা নেওয়া থেকে শুরু করে আসামি গ্রেফতার এবং কারাগারে পাঠানো পর্যন্ত অতিরিক্ত তৎপর ছিল পুলিশ— এমন অভিযোগও উঠেছে।

বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিরোধ ও চেক ডিজ-অনারের ক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়েরের একটা সাধারণ রীতি চলে আসছে। এ ক্ষেত্রে সেটি পালন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, এই ঘটনায় যদি আইনের ব্যত্যয় হয়, ভুক্তভোগী পরিবার অবশ্যই আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে— ব্যবসায়ী আদনান ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপনকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করা হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ভাটারা থানার কেউ সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে গুলশান বিভাগ ও ভাটারা থানার একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তা থানায় মামলাটি নিতে বলেন। এর পরে আসামি গ্রেফতার করা হয়। শুরু থেকে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপন আওয়ামী লীগ আমলে অন্যতম সুবিধাভোগী, সেটা ওই সময় তার জানা ছিল না।’

বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির একাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানান, এত বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনের বিরোধের ঘটনায় থানা সাধারণত সরাসরি মামলা নেয় না। তবে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ এলে এর ব্যতিক্রম হয়।

মূলত ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে— বিশেষ করে বিদেশে লোক পাঠানো নিয়ে— স্বপন কৌশলে তরুণ ব্যবসায়ী আদনানকে গ্রেফতার করান, এমন অভিযোগ রাজ ওভারসিজের কর্মচারীদের।

রাজ ওভারসিজের কর্মচারীরা জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান (বর্তমানে পলাতক) হারুন অর রশীদের সঙ্গে রুহুল আমিন স্বপনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। স্বপনের অফিসে প্রায় সময় আড্ডা দিতেন হারুন ও তার সহযোগীরা। বিদেশে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে আদনানের সঙ্গে কিছুটা বিরোধ ছিল স্বপনের। সেসময় আদনানকে শায়েস্তা করতে হারুনকে ব্যবহার করেন স্বপন।

মামলার এজাহারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে:

গত ২ জুলাই ভাটারা থানায় হওয়া এই মামলায় ধারা উল্লেখ করা হয়েছে ৪০৬/৪২০/৫০৬। মামলার এজাহারে বাদী শাহ আজম বলেন, তিনি মোহাম্মদ রুহুল আমিনের মালিকানাধীন ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার। তার মালিকের কাছ থেকে ২০২৪ সালের ২১ মে শ্রমিক সংগ্রহের কথা বলে আদনান খন্দকার একটি লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ব্যবসায়িক ঋণ হিসাবে নগদ ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন। সাক্ষী ছিলেন ক্যাথারসিসের জনশক্তি বিভাগের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঋণের টাকা পরিশোধে খন্দকার আদনান ২৭ মে ও ৩ জুন একটি বেসরকারি ব্যাংকের দুটি চেক দেন। এক মাস পর চেক দুটি ক্যাশ করতে যান রুহুল আমিন। তবে চেক দুটি ডিজ-অনার হয়। পরে আদনান জানান— তিনি টাকা নগদে পরিশোধ করবেন এবং চেক ফেরত নেবেন। কিন্তু তাতে দেরি দেখে রুহুল আমিন স্বপন ব্যবসায়ী আদনানকে বারবার তাগাদা দেন। তাতে উল্টো স্বপনকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন আদনান।

রাজ ওভারসিজের একজন কর্মচারী জানান, গত বছরের মে মাসে আদনানকে জিম্মি করে ওই দুটি চেকে তার সই নেওয়া হয়। এতে ডিবি হারুনের ভূমিকা ছিল। নিজেকে হয়রানি থেকে বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে আদনান দুটি চেকে সই করেন।

সূত্র মতে, ডিবি হারুনকে দিয়ে স্বপন ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালে ডেকে নেন আদনানকে। সেখানে তাকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে আদনানের কাছ থেকে দুটি চেকের পাতায় (৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উল্লেখ করে) সই নেওয়া হয়। একই সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তিনামায়ও সই করানো হয় সেখানে।

রাজ ওভারসিজের ওই কর্মকর্তা জানান, গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হলে স্বপনের হয়রানি থেকে পরিত্রাণের আশা করেছিলেন ব্যবসায়ী আদনান। তবে স্বপনের জাল থেকে তিনি নিস্তার পেলেন না। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রশ্ন আসছে, তরুণ ব্যবসায়ী আদনানকে ধারে যে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন স্বপন তা কেন নিজের আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি? সঠিক চ্যানেলে এই টাকা দিলে অবশ্যই নথিভুক্ত করতেন।

রুহুল আমিন স্বপন বিপুল পরিমাণ এফডিআর স্থিতি, ব্যাংক স্থিতি, গৃহ সম্পত্তিতে বিনিয়োগ, ব্যাংক সুদের তথ্য গোপন করে কর ফাঁকি দিয়েছেন। তেমনি ভুয়া ব্যাংক বিবরণী ও বাড়ি কেনার তথ্য দিয়ে আয়ও গোপন করেছেন বলে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্নেহাভাজন হিসেবে পরিচয় তৈরি করেছিলেন স্বপন। সেই প্রভাব খাটিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না ক্যাথারসিসের মালিক।

আদনানকে গত ২৪ জুলাই গ্রেফতারের পর ভাটারা থানার ওসি রাকিব উদ্দিন গণমাধ্যমে জানান, বনানী এলাকা থেকে প্রতারণার মামলায় ব্যবসায়ী আদনানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রয়েছে। আদনানকে গ্রেফতার করার পরপরই বিভিন্ন মহল থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করা হয়। তবে এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে তাকে আদালতে সোপর্দ করার কথা জানান ওসি।

আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানোর পর আদনান খন্দকার অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই তরুণ ব্যবসায়ী। আদনান খন্দকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সামসুল আলমের (পোখরাজ) ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর তিনিই পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

বিদেশে শ্রমিক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর আদনান পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেছিল। ভালো মানুষ ছিল। কিন্তু কারাগারের আবহাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না। বুকে ব্যথা হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে মারা গেলেন।’

একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, আদনান সবসময় সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। কারও সঙ্গে প্রতারণা করেছে এমন কোনো তথ্য জানা ছিল না। ব্যবসা করতে গিয়ে স্বপনের মতো খারাপ মানুষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়েছিল, যার বিপরীতে জীবন দিতে হলো তাকে। স্বপন দেশে নেই, তবুও কর্মচারিকে দিয়ে মামলা করাল। আবার আদনানকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে কারাগারে হত্যা করল। এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত।

কে এই রুহুল আমিন স্বপন?

বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে বিপুল টাকা পাচারের অভিযোগ আছে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপনের বিরুদ্ধে।

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ব্যয় ৭৯ হাজার টাকার জায়গায় গড়ে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেয় মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে চক্র গড়ে অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে তিনি বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন— এমন কথা প্রচলিত আছে এই সেক্টরে।

অভিযোগ উঠেছে, ‘চক্র ফি’ হিসেবে কর্মীপ্রতি এক লাখ টাকা নেয় ক্যাথারসিস ও তাদের চক্র। এর মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। ভিসা ‘বাণিজ্যের’ নামে পাচার হয়েছে আরও ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে পাচারের পরিমাণ অন্তত ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

চক্রটির হোতা আমিনুল ইসলাম বিন আমিন নূর, যিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক। বাংলাদেশে তার প্রতিনিধি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ওরফে স্বপন।

চক্র গড়ে শ্রমিক পাঠানো, ঘুষ লেনদেন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দেশের বড় শ্রমবাজারগুলোর একটি মালয়েশিয়ার দরজা বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ সরকার মালয়েশিয়া চক্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত ৫ আগস্ট তাদের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বায়রার একাধিক সদস্য।

২২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো বায়রার সদস্য মোস্তফা মাহমুদের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালেও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর চক্র গড়ে তুলেছিলেন আমিনুল ইসলাম বিন আমিন নূর ও রুহুল আমিন স্বপন। তখন ও এবার— দুই দফায় ১৭ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা লুট করেছে চক্রটি।

সংবাদ সম্মেলনে হামলা

গত ১৯ মে বায়রার সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রবীণ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন ও মোস্তফা মাহমুদের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটমুক্ত সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্তের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার পলাতক রুহুল আমিন স্বপনের সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নজরুল মনির, জহিরুল ইসলামসহ ১০-১২ জন বায়রার সদস্য আহত হন।

রুহুল আমিন স্বপনের সন্ত্রাসীদের হামলায় রিপোর্টার্স ইউনিটির গুরুত্বপূর্ণ কক্ষে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দেয় ক্যাথারসিস।

এদিকে সিআইসি অনুসন্ধানে নেমে দেশের ভেতরে স্বপনের সাকুল্যে ৯০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পায়। এর মধ্যে, সবশেষ ২০২২-২৩ করবর্ষে ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৩ টাকার সম্পদ আয়কর বিবরণীতে দেখান স্বপন; বিপরীতে কর দেন মাত্র ৫৩ লাখ টাকা।

অথচ আয় ও সম্পদের তথ্য গোপন করে তিনি ফাঁকি দিয়েছেন সরকারের প্রায় ৯ কোটি ২২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৭ টাকা। ফাঁকি দেওয়ায় জরিমানা হওয়ার কথা আরও ৪ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৬১ টাকা।