সিরিয়া-বাংলাদেশে অর্থ পাঠাতেন: মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ন, ০৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১:৫০ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি শ্রমিক সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস)-এর সেলগুলোতে অর্থ পাঠাতেন বলে দাবি করেছে দেশটির পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কারখানা, নির্মাণ ও সেবাখাতে কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার (৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে এদের আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া এই চক্রটি ‘গেরাকান মিলিটান র‌্যাডিকাল বাংলাদেশ’ (জিএমআরবি) নামে পরিচিত ছিল।

আরও পড়ুন: গাজায় অনাহার-অপুষ্টিতে শিশুসহ আরও ১১ জনের মৃত্যু

পুলিশ প্রধান জানান, গ্রুপটি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও প্রেরণ করত। মালয়েশিয়ার স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট অর্থ সংগ্রহের স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ধারণা, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে তাদের সদস্য সংখ্যা ১০০ থেকে ১৫০ জন। প্রত্যেক সদস্যকে বছরে ৫০০ রিংগিত করে চাঁদা দিতে হতো, যদিও কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি অনুদান দিত।”

আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

মালয়েশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্য থেকে সদস্য সংগ্রহ করছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করতেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, “এই নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সেলগুলোর সঙ্গে কোনো সরাসরি সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা ইন্টারপোলসহ অন্যান্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত করছি।”

আটকদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বাকি ১৬ জন এখনো পুলিশের হেফাজতে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কুয়ালালামপুরে আইএস সংশ্লিষ্ট এক হামলার পর থেকে মালয়েশিয়া সরকার জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। এরপর থেকে বহু সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন গ্রেপ্তারের সংখ্যা কমে গিয়েছিল।