ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের যেভাবে হত্যা করে মোসাদ

Any Akter
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ন, ০৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১:০০ পূর্বাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইরানে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) অন্তত ২০ জন শীর্ষ কমান্ডার এবং কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এসব হামলা এতটাই নিখুঁত ও সমন্বিত ছিল যে ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল তাদের অবস্থান সম্পর্কে আগেই নিশ্চিত ছিল।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় এসেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোসাদের সাবেক উপপ্রধান রামে ইগ্রা এসব হামলার কৌশল নিয়ে মুখ খোলেন।

আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান

তিনি জানান, মোসাদ মূলত তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং ছিল এর অন্যতম মূল অস্ত্র।

রামে ইগ্রা বলেন, যদি আপনার হাতে একটি মোবাইল থাকে, তাহলে আপনার কিছুই গোপন নেই। আর যদি আপনি হন রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর কমান্ডার, তাহলে তো কথাই নেই। আপনি কোথায় থাকেন, কোন ফ্ল্যাটে, কোন তলায়—সবই জানা সম্ভব। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আইআরজিসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ঘুমের সময় ঘরের অবস্থান নির্ধারণ করে স্মার্ট মিসাইল দিয়ে সরাসরি ওই ঘরে হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল

ইরানি সেনা কর্মকর্তারা যে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, সেই ঘরেই মিসাইল গিয়ে আঘাত হানে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। প্রযুক্তি এখন এ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, বলেন তিনি।

রামে ইগ্রা আরও জানান, ইসরায়েল গত দুই বছর ধরে একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিল, যার মাধ্যমে ভবনের নির্দিষ্ট ঘর পর্যন্ত সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এরই ফলাফল এই নিখুঁত হামলা।

তবে এসব হামলার ফলে ইরানের সামগ্রিক সামরিক সক্ষমতা ভেঙে পড়বে না বলে মনে করেন মোসাদের সাবেক এই কর্মকর্তা। তার মতে, “এসব অপারেশন কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও জাতীয় প্রতিরক্ষা কাঠামো তাতে ধসে পড়ে না।

সাক্ষাৎকারে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ইগ্রার মতে, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে ইরান সরে দাঁড়ানোর দায় বহন করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে।