কলকাতায় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের আশ্রয় প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ন, ১৮ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার (১৭ জুলাই) নিউ টাউনের একটি আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র এক অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মীরা কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছেন।”

নির্দিষ্ট নাম না ভেবে তিনি বলেন, “ভারত সরকার তো কয়েকজন অতিথিকে রেখে দিয়েছে। আমি কি তাতে বাধা বা আপত্তি করেছি? দিইনি। … তাহলে আপনারা কেন ‘বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি’ তকমা দিচ্ছেন?”

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে

মমতা আরও বলেন, মোদি সরকারের মদতেই উত্তর-পূর্ব ও অন্যান্য রাজ্যে বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ বা ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে ট্যাগ করা হচ্ছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন,

“বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হচ্ছে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই রিপোর্ট করে দেওয়া হবে। ওরা জানে না, বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা এশিয়ায় দ্বিতীয়, আর বিশ্বে পঞ্চম।”

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১ ফিলিস্তিনি

তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী অনেকে দেশভাগের পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছেন বা ১৯৭১ সালের আগে ভারতে এসেছেন। তাদের বাংলা ভাষায় গভীর ভক্তি আছে, কিন্তু তারা “বাংলাদেশি না, সবাই ভারতীয়।” মমতা বলেন,

“একজন ভারতীয় দেশের যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন। কিন্তু বাংলায় কথা বললেই, বাংলাদেশি বলছে—এটা তো অযৌক্তিক।”

এই বক্তব্যে মমতা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের “ভাষাগত বহুবিধতায় প্রতিবাদে আক্রমণ করলেও, একই সঙ্গে তিনি কলকাতায় পলাতক বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ের বিষয়টিও কেন্দ্র করেছেন। স্থানীয় রাজনীতি ও কেন্দ্রীয় ভাষা নীতিতে এই প্রশ্ন কার্যত ইঙ্গিতমূলক ও চাপসৃষ্টিকারী বলে মনে হচ্ছে।