যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ করার ঘোষণা দিয়েছেন। গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন।
আদেশ জারির পরই ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অবস্থিত পেন্টাগনের সাইনবোর্ডগুলোতে নতুন নাম যুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদবিকে পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধমন্ত্রী’ এবং উপমন্ত্রীর পদবিকে ‘উপ-যুদ্ধমন্ত্রী’ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনআইসিইউতে ইঁদুরের কামড়ে দুই নবজাতকের মৃত্যু, তদন্তে কর্তৃপক্ষ
ওভাল অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এটি সামরিক বিজয়ের নতুন যুগের সূচনা করবে।” তার দাবি, এই নাম পরিবর্তন বৃহত্তর সংস্কারের অংশ।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও নতুন ‘যুদ্ধমন্ত্রী’ পিট হেগসেথ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা কেবল প্রতিরক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকব না, আক্রমণেও এগিয়ে যাব।”
আরও পড়ুন: নভোচারী সেজে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
তবে সমালোচকরা বলছেন, নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি ব্যয়বহুল এবং অপ্রয়োজনীয়। কারণ এতে শুধু পেন্টাগনের সাইনবোর্ড ও লেটারহেড নয়, বিশ্বজুড়ে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর নথিপত্র ও প্রতীকী উপকরণও পরিবর্তন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ বলা হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কংগ্রেস সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে একীভূত করার সময় এর নাম পরিবর্তন করে ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ’ রাখা হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, সে সময় পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করা যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল বলেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল।