আক্রমণ মানেই যৌথ প্রতিরোধ
পাকিস্তান-সৌদি আরবের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি

পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরব একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটিকে উভয় দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখা হবে এবং যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সৌদি রাজধানী রিয়াদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই চুক্তিপত্রে সই করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) ও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম *ডন*।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার এবং অঞ্চল ও বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। চুক্তিটি ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব, কৌশলগত স্বার্থ ও দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এটি বহু বছরের আলোচনার ফল এবং নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়। বরং দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, চুক্তিটি সব ধরনের সামরিক কৌশলকে অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১ ফিলিস্তিনি
এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠকের দুই দিন পর। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানায় আরব ও ইসলামিক দেশগুলো।