উপকূলের কাছাকাছি সুপার টাইফুন রাগাসা

চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সুপার টাইফুন রাগাসা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। টাইফুনটি হংকং উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় গোটা অঞ্চলে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অন্তত ১০টি শহরে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আলে শায়খ ইন্তেকাল করেছেন
সুপার টাইফুন রাগাসার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার পৌঁছেছে। হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, টাইফুনটির ‘মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে গুয়াংডং প্রদেশে’। চীনের এই প্রদেশটি হংকংয়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্রের পাশেই অবস্থিত।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেনজেন শহরের জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, জরুরি উদ্ধারকর্মী বা জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কাউকে অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরের বিপণিবিতান ও বাজারগুলোও বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ‘ঐতিহাসিক’ : জাতিসংঘের সভায় এরদোগান
সুপার টাইফুন রাগাসার নাম ফিলিপিনো শব্দ ‘দ্রুতগতি’ থেকে নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষক চয় চুন-উইং জানিয়েছেন, রাগাসার ব্যাপক পরিসর এবং দ্রুতগতি হংকংসহ গুয়াংডং উপকূলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। যদিও এটি সরাসরি হংকংয়ে আছড়ে না পড়লেও প্রভাব মাংখুতের চেয়ে বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইফুনের প্রভাবে সমুদ্রের জোয়ারে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। ২০১৭ সালের হাটো এবং ২০১৮ সালের মাংখুত টাইফুনের মতো এবারও উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে তলো হারবারে জোয়ারের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া হংকংয়ের নিম্নাঞ্চল যেমন লেই ইউ মুন, হেং ফা চুয়েন, তুয়েন মুন এবং তাই ও এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।