ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ‘ঐতিহাসিক’ : জাতিসংঘের সভায় এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এসব পদক্ষেপ দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
আনাদোলু সংস্থার খবর অনুযায়ী, জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক এক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এরদোগান এসব কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত আছে এবং ‘বিবেকবান কেউই এ ধরনের গণহত্যার মুখে নীরব থাকতে পারে না’।
আরও পড়ুন: গাজায় দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ, খাদ্য সহায়তা আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
এরদোগান আরও বলেছেন, এখন জরুরি হলো গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা, মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা। তিনি পশ্চিম তীরে ইসরাইলের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ, পূর্ব জেরুজালেমে জবরদস্তিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে অসম্ভব করে তোলা ও ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা—এমন নীতিকে কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি যে সমাজ থেকে নেতানিয়াহুর সরকার এসেছে (হলোকাস্টের শিকারদের সমাজ), সেখানে এখন প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে—এ মন্তব্যও বিবৃতিতে স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল বেলজিয়াম
বিশ্বব্যাপী কয়েকটি দেশ সাম্প্রতিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে—ফ্রান্স সহ কিছু দেশে এ ধরনের ঘোষণার ঘটনা সংবাদবহুল ছিল, এবং ইউএন মহাসভা/সাইডলাইন সম্মেলনের মঞ্চে এসব সিদ্ধান্তে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এসব ঘোষণার কভারেজ পাওয়া যাচ্ছে।