জেন-জি তরুণদের বিক্ষোভে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, নিহত ৪

- বেশি ক্ষমতা ও সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে উত্তাল লাদাখ
- বিজেপি অফিসে আগুন, পুলিশি গুলিতে নিহত ৪, আহত বহু
হিমালয়ের শীতল মরুভূমি লাদাখ বুধবার ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত রাজনৈতিক বিক্ষোভের সাক্ষী হলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলের (বিজেপি) কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ তরুণরা। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৪ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।
এই সহিংসতা শুরু হয় লেহ শহরে ‘লাদাখ অ্যাপেক্স বডি’র নেতৃত্বে চলমান অনশন ধর্মঘটের ১৫তম দিনে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছে, মোদি সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময় ক্ষেপণ করেছে, কিন্তু বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই।
আরও পড়ুন: জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা
লাদাখের শিক্ষাবিদ এবং আন্দোলনের প্রধান মুখ সোনম ওয়াংচুক বলেন, “তরুণদের মনে বিশ্বাস জন্মেছে, আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যথেষ্ট নয়।” ওয়াংচুক ‘জেনারেশন-জেড বিপ্লব’ বলে একে অভিহিত করেন।
বিক্ষোভকারীরা লাদাখের জন্য পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা, ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সাংবিধানিক সুরক্ষা, এবং সরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন
২০১৯ সালে ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করে, কিন্তু এখানে নেই কোনো স্থানীয় আইনসভা। ফলে জনগণের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব অনেকটাই বিলুপ্ত হয়েছে।
লাদাখের উচ্চ সাক্ষরতার হার ও শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব, এবং রাজনৈতিক অনিরাপত্তা—সব মিলে এক ধরনের সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এই অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি করতে পারে।