ট্রাম্পের প্রস্তাবে নেতানিয়াহুর সম্মত

গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হবেন ট্রাম্প

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি আনতে ২০ দফার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেটানিয়াহু এ প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন, কিন্তু গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনও আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। 

ট্রাম্প জানান, হামাস যদি প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং একই সঙ্গে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এরপর হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে এবং নিজস্ব অস্ত্রসমর্পণ করে নিরস্ত্রীকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হবে। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরো গাজাকেই ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণ করার কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন

একটি সবচেয়ে চমকপ্রদ শর্ত হলো—প্রস্তাব মেনে চলার পরে গাজার বৈঠককালীন প্রশাসন বা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে, যার নাম হবে দ্য বোর্ড অব পিস (শান্তি প্রশাসন) এবং তার প্রধানের দায়িত্ব স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে পালন করবেন বলে মহিত হয়েছে। ট্রাম্প বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে এই প্রশাসন গঠিত হবে; তালিকায় রয়েছে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার—যিনি যোগদান করবেন বলে উপস্থাপিত হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অন্তর্বর্তী প্রশাসন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কাজ করবে, ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে পরে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের প্রস্তুতি করবে এবং গাজায় একটি সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী গঠন করে তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। সবচেয়ে বড় শর্তটি হলো গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় পৌঁছেছে কয়েকটি বাস

হামাসের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, তারা এখনো লিখিত প্রস্তাব পায়নি; প্রস্তাব পেলে তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি আরো বলেছেন, তারা এমন প্রস্তাবে রাজি হবেন যা গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে পূর্ণ প্রত্যাহার, যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবে অস্ত্রের বিষয়ে হামাস আপাতত অনড়: তারা বলেছে, যতদিন দখলদারত্ব থাকবে, তাদের কাছে অস্ত্র থাকবে।

এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের রাজনীতি, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ঝুঁকি অত্যন্ত জটিল—বিশেষ করে যখন ইসরায়েল অভ্যন্তরীণভাবে কট্টর পরামর্শবাহী জোটের নেতৃত্বে আছে যারা হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামার বিরোধী। হামাসের চূড়ান্ত জবাব আন্তর্জাতিকভাবে নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল