গাজায় অভিযান পুনরায় শুরু করবে ইসরায়েল: ট্রাম্প

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মানতে ব্যর্থ হয়, তবে ইসরায়েলি বাহিনী আমার কথামতো মুহূর্তের মধ্যেই গাজায় অভিযান পুনরায় শুরু করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। 

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে ফল হবে ভয়াবহ: ইরানের হুঁশিয়ারি

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, হামাসের সঙ্গে যা ঘটছে, সেটা খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যাবে। ইসরায়েল চাইলে এখনই ফিরে যেতে পারে, যত তাড়াতাড়ি আমি বলব।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে এমন সময়, যখন ইসরায়েল অভিযোগ করছে, হামাস এখনো সব জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, যা গাজায় মানবিক সহায়তা বিলম্বের কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯ ফিলিস্তিনি

ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ৪ নম্বরে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল চুক্তি স্বীকার করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সকল জীবিত ও মৃত জিম্মিকে ফেরত দেওয়া হবে।

বুধবার পর্যন্ত ২০ জন জীবিত জিম্মি ইসরায়েলে ফিরেছে, আর হামাস ৮টি মরদেহ হস্তান্তর করেছে। আরও কয়েকটি মরদেহ সন্ধ্যার মধ্যে ফেরত আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প বলেন, এই ২০ জন জিম্মিকে জীবিত ফেরানো ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মার্কিন প্রশাসনের দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জানান, হামাস চুক্তি ভঙ্গ করেনি, এবং তারা বাকি মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা সহায়তা ও সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করছে।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলকে আমি থামিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু যদি হামাস অস্ত্র না ফেলে, ইসরায়েল আবারও রাস্তায় ফিরবে।

তিনি আরও জানান, যদি ইসরায়েল এখনই গিয়ে তাদের গুঁড়িয়ে দিতে চায়, তারা সেটা করতে পারবে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস যদি অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে রাজি হয়, তবে তাদের ক্ষমা ও নিরাপদ প্রস্থান দেওয়া হবে। তবে যারা তা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

চুক্তি সইয়ের পর মিশরের শার্ম আল-শেখে ৫৯টি দেশ এই শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়েছে, যাকে ট্রাম্প বলেছেন আমরা এমন ঐক্য আগে কখনো দেখিনি। এখন ইরানও সমস্যা নয়।

একইসঙ্গে তিনি জানান, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কাজ করছেন, এবং শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে আসছেন।

ট্রাম্পের ভাষায়, একটা যুদ্ধ তিন বছর ধরে চলছে, আরেকটা তিন হাজার বছর ধরে — দেখি কোনটার শান্তি আগে আসে।