তুরস্ক থেকে ফেরার পথে বিমান বিধ্বস্ত, লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত

Sanchoy Biswas
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৭ পূর্বাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:০১ পূর্বাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

তুরস্ক থেকে লিবিয়ায় ফেরার পথে একটি প্রাইভেট জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদসহ একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দবেইবা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, রাজধানী আঙ্কারা থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রাকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন লিবিয়ার স্থলবাহিনীর চিফ অব স্টাফ, সামরিক শিল্প কর্তৃপক্ষের প্রধান, সেনাপ্রধানের একজন উপদেষ্টা এবং সামরিক মিডিয়া অফিসের একজন আলোকচিত্রী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী দবেইবা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, অত্যন্ত বেদনাবিধুর মন নিয়ে তিনি এই দুঃসংবাদ পেয়েছেন। তিনি নিহত সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ ও তার প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি জাতি ও সশস্ত্র বাহিনীর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। লিবিয়া এমন সব মানুষকে হারিয়েছে, যারা নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও জাতীয় দায়িত্ববোধ নিয়ে দেশের সেবা করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবার, সহকর্মী ও সমগ্র লিবীয় জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, আঙ্কারা থেকে লিবিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা একটি ফ্যালকন–৫০ মডেলের প্রাইভেট জেটের ধ্বংসাবশেষ আঙ্কারার হায়মানা জেলায় পাওয়া গেছে। ওই বিমানে লিবিয়ার সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদসহ মোট পাঁচজন যাত্রী ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে এসেনবোবা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাত ৮টা ৫২ মিনিটে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আঙ্কারার দক্ষিণে হায়মানা জেলার কাছে বিমানটি জরুরি অবতরণের সংকেত পাঠিয়েছিল। তবে ওই সংকেতের পর আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম এনটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর আকাশসীমায় রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এসেনবোবা বিমানবন্দর থেকে একাধিক ফ্লাইট অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।