জেনে নিন ত্বকের বয়স কমাতে কী খাবেন
স্ট্রেস, পানিশূন্যতা বা প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হলে শরীরের ভেতরের প্রভাব দ্রুতই ত্বকে দেখা দেয়। বলিরেখা, ক্লান্ত চোখ, নিস্তেজ ত্বক—সবই শুরু হয় কোষের ক্ষতি ও কোলাজেন কমে যাওয়ার কারণে। তবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদানে এমন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি থাকে যা ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের ছাপ পড়ার আগেই প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো দিয়ে তৈরি কিছু সহজ পানীয় প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও দৃঢ়তা বজায় রাখা সহজ হয়। জেনে নিন এমন চারটি কার্যকর পানীয় সম্পর্কে—
ডালিম–পুদিনা
আরও পড়ুন: ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? বিশেষজ্ঞরা জানালেন কার্যকর পরামর্শ
ডালিমে রয়েছে প্রচুর পলিফেনল ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও হজমে সহায়তা করে।
উপকারিতা:
আরও পড়ুন: কেন হয় কিডনির রোগ? আসল কারণ খুঁজে পেলেন গবেষকেরা
ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। পুদিনার মেন্থল অন্ত্রকে প্রশমিত করে পুষ্টি শোষণ বাড়ায়। এই দুই উপাদান একসঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ–আদা
হলুদের কারকিউমিন এবং আদার জিঞ্জেরোল প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
উপকারিতা:
প্রদাহ কমিয়ে ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। গোল মরিচ যোগ করলে কারকিউমিনের শোষণ আরও বেড়ে যায়। এই পানীয় দেহের ভেতরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রেখে ত্বককে করে আরও স্বাস্থ্যকর।
গাজর–কমলার রস
গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং কমলার ভিটামিন সি ত্বক পুনর্গঠনে বিশেষভাবে কার্যকর।
উপকারিতা:
বিটা-ক্যারোটিন ত্বককে সূর্যালোকজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে দৃঢ় করে। এই দুইয়ের মিশ্রণে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই পায় দারুণ উজ্জ্বলতা।
অ্যালোভেরা–শসা
অ্যালোভেরা জেলে আছে ভিটামিন এ, সি এবং ই—যা ত্বক মেরামতে সরাসরি কাজ করে।
উপকারিতা:
অ্যালোভেরা ত্বকের বাধা (skin barrier) পুনর্গঠনে সাহায্য করে। শসার ইলেক্ট্রোলাইট শরীরকে হাইড্রেট করে এবং ফোলাভাব কমায়। এই পানীয় ক্লান্ত ও শুষ্ক ত্বককে দ্রুত সতেজ করে তোলে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব প্রাকৃতিক পানীয় যুক্ত করলে ত্বক হবে আরও উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর এবং বয়সের ছাপ পড়বে ধীরে।





