কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে মোখা

কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ। আজ রোববার সকাল পৌনে নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। মোখার প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করছে। আজ রবিবার (১৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ ফারুকী, ঢাকায় আনা হয়েছে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৮.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৩ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় (১৪ মে, ২০২৩) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার-উত্তরের মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ মে) বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে মিয়ানমারের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮৪ দফা ও ৮ অঙ্গীকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে জাতীয় জুলাই সনদের খসড়া
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের এলাকায় সমুদ্র খুবই উত্তাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর; চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।