আ.লীগ-বিএনপির দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচীতে অচল ঢাকা

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি চলছে। একই দিনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং র্যালি করছে রাজধানীতে।
পাল্টাপাল্টি এসব কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি পদযাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ
রামপুরা ব্রিজে পদযাত্রায় যুক্ত হয় মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। পদযাত্রাটি বিমানবন্দর, কুড়িল, বিশ্বরোড হয়ে নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদাপাড়া এবং সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ এবং র্যালি রাজধানীর তেঁজগাও সাতরাস্তা মোড় থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সড়কে সৃষ্ট হয়েছে তীব্র যানজট। সরেজমিনে দেখা গেছে, তেঁজগাও-বিমানবন্দর সড়কজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ছড়িয়েছে যানজট। যাত্রাবাড়ী থেকে রামপুরা-উত্তরা সড়কেও একই অবস্থা।
সাতরাস্তা এলাকায় কথা হয় আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের বাসচালক রাজু আহমেদের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রাস্তায় কর্মসূচি কেন করে আমি বুঝি না। কর্মসূচির জন্য মাঠ আছে। মানুষ আমাদের গালাগালি করে। কিন্তু, যানজট তো মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির জন্যই। এখানে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে।
বলাকা পরিবহনের বাসচালক রহিম উদ্দিন বলেন, যাত্রী ভরপুর বাসে। অনেকক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে আছি এই গরমের মধ্যে। যাত্রীরাও কষ্ট পাচ্ছে, আমাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মো. শাহেদ যাবেন পল্টন। বনানী থেকে উঠেছেন আজমেরি গ্লোরী পরিবহনে। তিনি বলেন, মহাখালীতে আসার পরে বাস আর চলছে না। একটুও এগুচ্ছে না বাস। কখন যে যাব পল্টন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সময়ের কোনো মূল্য নেই। গতকালও রাস্তায় ছিল প্রচণ্ড যানজট। মনে হচ্ছে এই দেশটা রাজনৈতিক দলগুলোর, আর কারো নয়!
বলাকা পরিবহনের যাত্রী মোহাম্মদ কালাম। যাবেন গাজীপুর। সাত রাস্তার মোড় থেকে বাসে উঠেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২ ঘণ্টাতেও মহাখালী পার হতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম এখানেই নাকি সরকারি দলের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ হচ্ছে। এ কেমন শান্তি, এ কেমন উন্নয়ন সমাবেশ মানুষকে কষ্ট দিয়ে!