গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করল ইসি
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সবশেষ সংশোধনী নিয়ে ‘অস্পষ্টতা’ দূর করতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য মতবিনিময় সভাটি স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি ফোন করেও অবহিত করেছে ইসির জনসংযোগ শাখা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীর পদত্যাগপত্র গৃহীত
জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তে আরপিও নিয়ে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য ২০ জুলাইয়ের সভাটি ‘অনিবার্য কারণে’ স্থগিত করা হয়েছে। সুশীল সমাজ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো সংশ্লিষ্টদের স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর ৯১ অনুচ্ছেদের একটি ধারা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হয়। এটা নিয়ে যে অস্পষ্টতা, তা দূর করতে অংশীজনদের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরতে চেয়েছিল। এতে বিশিষ্টজনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি কমিশনের ব্যাখ্যায় অস্পষ্টতা নিরসন করতে চায় কমিশন।
আরও পড়ুন: এনটিএমসি বিলুপ্ত, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধনী পাশ
গত শুক্রবার পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে জানানো হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে আরপিও নিয়ে অনেকের মধ্যে অস্পষ্টতা রয়েছে। যা দূরীভূত হওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু পাঁচদিনের মাথায় মঙ্গলবার ‘সভা স্থগিতকরণ’ চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০ জুলাইয়ের সভাটি অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-১৭ উপ নির্বাচনসহ নানা ব্যস্ত রয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইইউ প্রতিনিধি দলও ঢাকায় দুই দফা কমিশনে গেছেন। মঙ্গলবারও একটি দল বৈঠক করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে বাংলাদেশের ভোটের পদ্ধতির আদ্যোপান্ত জেনেছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী কারিগরি ও আইনি দল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংবিধান, আইন, বিধি, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বাছাই, নির্বাচনী আইনি ঝামেলা, সবশেষ আইন সংশোধনীর বিষয়ে জেনেছেন তারা। কমিশনের ব্যস্ততার মধ্যে কি পরিস্থিতিতে সভাটি স্থগিত হয়ে তার সুস্পষ্ট ধারণা দেন তিনি ইসি কর্মকর্তারা।





