সহিংসতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এক সাথে কাজ করবে ভারত-বাংলাদেশ : প্রণয় ভার্মা

Babul khandakar
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ | আপডেট: ৩:২৭ অপরাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

 অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দুই দেশ এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঢাকার সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে নয়াদিল্লি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রণয় ভার্মা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও মানুষকে তিনি যেভাবে ভালোবাসতেন তা এখনও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ না, বরং দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আজকের এদিনে এসে সেজন্য আমরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। এছাড়া সামাজিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও আমাদের দুদেশের মধ্যে অত্যন্ত মিল রয়েছে।  তিনি বলেন, আমাদের খারাপ সময়গুলোতে একে অন্যের পাশে থাকা ও ১৯৭১ এ যুদ্ধের সময় আমাদের স্যাক্রিফাইস দুদেশের বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে। আমি আশা করি এটি আগামীতেও থাকবে।

ভারতীয় এ রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে। এ অগ্রযাত্রায় ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। আর এটি শুধু অতীতেই নয়, বর্তমানেও তার ছায়া আছে এবং থাকবে। এছাড়া মানবিকতা, অন্যদের হিংসাত্মক অবস্থান বা বিভিন্ন বিচারকার্যের ক্ষেত্রেও সমতার নিরিখে বাংলাদেশের পাশে ভারতের শক্ত অবস্থান রয়েছে।  

আরও পড়ুন: সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের যে বন্ধুত্ব, বঙ্গবন্ধু যার ভিত রচনা করেছেন এবং মূল্য দিয়েছেন, আমি আশা করি সেই বন্ধুত্ব দুদেশই আগামীতে আরও উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবে। আমি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রণয় ভার্মা বলেন, ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিকভাবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যৌথ সংগ্রাম এবং জনগণের আত্মত্যাগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে অটুট সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধন তৈরি হয়েছে, যা অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও তার আত্মত্যাগের সম্মানে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে এবং ১৯৭১ এর উত্তরাধিকার ও চেতনা রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাই হবে বঙ্গবন্ধু ও তার উত্তরাধিকারের প্রতি সর্বকালের সেরা শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমরা আশা করি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্ম আমাদের পথ দেখাবে। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ও ১৫ আগস্টের শোকাবহ রাতকে স্মরণ করি।

এ সময় যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দুদেশ একত্রে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন: আদালতে ফয়সালের স্ত্রীর জবানবন্দি, হত্যাচেষ্টা মামলায় নতুন তথ্য

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইচ্ছা করলেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা যাবে না। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের বন্ধন রয়েছে। ভারতের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব ছিল না। দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তা বর্তমান সরকারের সময়ে আরও দৃঢ় হচ্ছে। ভারত স্বাধীনতাযুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। ১ কোটি মানুষকে থাকতে দিয়েছে। খাবার প্রদানসহ যুদ্ধের প্রশিক্ষণ-অস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়েছে ভারত।  সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত ও বাসন্তী চাকমা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত ও বাসন্তী চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম। আয়োজন সঞ্চালনা করেন সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক।