পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ন, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এ ‘সাসটেইনেবল নগরায়ণ এবং পরিবেশ সুরক্ষার অগ্রগতির নাগরিক রোডম্যাপ’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল পিএআর কর্মসূচির চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএসএইডের বাংলাদেশের অফিস ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ এন খান, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব প্রোগ্রামস গোয়েনডোলিন এ্যাপেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয় সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক প্রদীপ কুমার রায়, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নুরুজ্জামান প্রমুখ।

এ সময় পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সকলের অভ্যাসগত দৈনন্দিন ব্যবহার পরিবর্তনের তাগিদ দেন পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্লাস্টিক ব্যবহারে সকলকে আরো সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব

সরকার এককভাবে কিছু করতে পারবে না, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।’

বর্জ্য অপসারণে নগর সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার যেতে হবে।’ নির্বাচনের আগে যারা সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এমন ৪৬ জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে সংসদে একটি ককাস গঠরের আহ্বান জানান তিনি।

প্রাণবন্ত আলোচনায় নির্ধারিত বক্তারা ছাড়াও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুব ও নারী প্রতিনিধিরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা পরিকল্পিত নগরায়ন, পরিষেবা সরবরাহ, টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ ও নদী দূষণ বন্ধে প্রণীত সুপারিশমালা তুলে ধরেন। ওই সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।