নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ন, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৮ অপরাহ্ন, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য দেশের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। এ জন্য বড় অর্থের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘নির্বাচনে অবজার্ভার পাঠানোর ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি। ইকুয়াল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হওয়ার জন্য, বিশেষ করে প্রত্যেকটি নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা যাতে থাকে, আমরা এটা প্রস্তাব করেছি। তারা এই প্রস্তাবকে এনকারেজ (উৎসাহিত) করেছে। এ জন্য যে হিউজ বাজেট দরকার, আমরা তাদেরকে বলেছি যে, তারা যেন এ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করে।’

আগামী নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে কি না, জানতে চাইলে কী জানিয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টা যে টাইমলাইন দিয়েছেন তার ওপরই আস্থা রাখবে জামায়াত।

আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেশে নির্বাচন পরিদর্শনের জন্য পরিদর্শক দল পাঠানোর কথা জানিয়েছি।

তাহের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে গার্মেন্টস পণ্য প্রচুর পরিমাণে যায়। আমরা তাদের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারণ করে দেব। সেখানে তারা আরও বেশি বিনিয়োগ করবে।

তিনি বলেন, ‘জামায়াত সবসময় নারীদের অধিকার, জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াত কী করবে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। আমরা এ বিষয়গুলোতে আশ্বস্ত করেছি। নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে বলেছি এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক। এছাড়া নারীদের অংশগ্রহণ জামায়াতে ৪৩ শতাংশ। যা অন্য সবার চেয়ে বেশি।’

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আমরা চাই। প্রধানমন্ত্রী পদে দুইবারের বেশি কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না—সংস্কার কমিশনের এ প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি।’