গডফাদার ও বাহিনী সদস্যদের আটকের চেষ্টা
আন্ডারওয়ার্ল্ড পরিস্থিতি নিয়ে গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত-মোল্লা মাসুদ

হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া তার অন্য তিন সহযোগী মোল্লা মাসুদ, শুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফের ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আটকের পরেই যৌথ বাহিনী ও গোয়েন্দারা তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রিমান্ডে নিয়ে দেশের আলোচিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের রাজধানীর আন্ডার ওয়ার্ল্ড পরিস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা গডফাদার ও বাহিনীর অন্য সদস্যদের। জানার চেষ্টা চলছে পাতা গোষ্ঠীর পর নুন টিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রগুলোর গন্তব্য নিয়ে। রিমান্ড শুনানির সময়ে বেঁচে থাকার জন্য অস্ত্র রাখেন এবং কোন চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নন বলে আদালতে দাবি করেন সুব্রত বাইন।
আরও পড়ুন: ইসির প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
ইন্টারপোলের তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন এবং তার ৩ সহযোগী মোল্লা মাসুদ, শুটার আরাফাত ইবনে নাসির ও এম এ এস শরীফকে করা নিরাপত্তায় বিকেল সাড়ে ৩টা ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। সুব্রত বাইন দাবি করেন, তিনি চাঁদাবাজিতে জড়িত নন, তার নামে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন সুব্রত বাইন। ২হাজার ২২সালে তাকে চোখ বেধে নেয়া হয় এবং আয়না ঘরে রাখা হয় বলেও দাবি করেন ইন্টারপোলের এই মোস্ট ওয়ন্টেড। ৫ আগস্ট রাত ৩টায় তাকে ছাড়া হয় বলেও দাবি করেন সুব্রত।
আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। অন্যদিকে, আসামিদের কাছে পাওয়া অস্ত্রের উৎস ও উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা এবং আসামিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলার তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত। আসামিদের আনা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
আশি ও নব্বইয়ের দশকে ঢাকার মগবাজার কেন্দ্রিক সুব্রত বাইনের নেতৃত্বে সেভেনস্টার বাহিনী ও তখনকার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিয়াকত-মুরগী মিলনদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘ফাইভ স্টার’ বাহিনীর দ্বৈরাত্ন ছিল।
মঙ্গলবার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদসহ শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখাতে হাতিরঝিল থানায় পাঠানো হয়।