নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৌরসভার কর্মীকে মারপিট

নেত্রকোনা পৌরসভার কর্মী ইজ্জত খান রানা (৫১) জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটের শিকার হয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজনের দ্বারা। এ ঘটনায় ইজ্জত খান রানা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি বুধবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি কাজী মো. শাহনেওয়াজ।
এর আগে রবিবার বিকেলে ইজ্জত আলী খান তার জমিতে প্রাপ্ত নিয়েই হাল চাষ করতে গেলে মুঘল আজম খান ও শাহনূর খানের লোকজন তাকে মারপিট করেন। এতে তার হাতের দুটি আঙুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ভ্রমণব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো আট খন্ড লাশের পরিচয় মিলেছে
ইজ্জত খান রানা নেত্রকোনা পৌরসভার পশ্চিম সাতপাই এলাকার মৃত আলী হোসেন খানের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা পৌরসভার পানি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার একজন কর্মী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইজ্জত খান রানার বাবা আলী হোসেন খানের নামে বিআরএস রেকর্ডকৃত জমি মুঘল খান ও শাহনূর খানের লোকজন দখল করে রাখেন। পরে জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য শাহানূর খানের চাচাতো বোন সালেহা বেগম নেত্রকোনা আদালতে ২০০৮ সালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইজ্জত খান রানার বাবার পক্ষে রায় হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জীবননগরে মানববন্ধন
পরে গত রবিবার বিকেলে জমিতে হাল চাষ করার জন্য ট্রাক্টর নিয়ে যান ইজ্জত খান। খবর পেয়ে মুঘল আজম খান ও শাহনূর খান লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। এতে রানার দুটি আঙুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধা-সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ইজ্জত খান রানা নিজে বাদী হয়ে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শাহানূর খান বুধবার বিকেলে মোবাইল ফোনে জানান, ইজ্জত খান রানা যে জমিতে হাল চাষ করতে গিয়েছিল সেটি তার চাচাতো বোন সালেহা বেগমের। সেই জমি একাধিকবার কয়েকজনের কাছে বিক্রি হয়েছে। ইজ্জত খান এবং সালেহা বেগম সম্পর্কের চাচাতো ভাই-বোন। বেগমের বাবার ভাগের জমি ইজ্জত খানের বাবার নামে রেকর্ড হয়। সেই রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করলে সেটি প্রত্যাহার করে সত্যের জন্য পুনরায় মামলা করেন। এখানে মারপিট তেমন কিছু ঘটেনি। ইজ্জত খান ট্রাক্টরের মধ্যে হাত লাগিয়ে তার আঙুলের কিছু অংশ কেটে যায়।
নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী শাহ বলেন, ইজ্জত খান রানা আঙুল কাটার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।