জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জাগপার ৩ দাবি, কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে তিন দফা দাবি ও মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। সোমবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও কর্মসূচি তুলে ধরেন জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
রাশেদ প্রধান বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নির্বাচন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি অতীতের গণহত্যাগুলোর বিচারও অত্যাবশ্যক। অথচ আমরা ক্রমাগত ভুলে যাচ্ছি পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদী বিরোধী আন্দোলন, লগি-বৈঠাসহ নানা রক্তক্ষয়ী ঘটনার কথা।”
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ‘ফ্যাসিস্ট’ রূপে জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী কার্যকলাপ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিনিধি' আখ্যা দিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, “সীমান্ত হত্যা, পানির সুষম বণ্টন না দেওয়া, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং শেখ হাসিনাকে এক বছর দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত তাদের আগ্রাসী অবস্থান স্পষ্ট করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জাগপা তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলো হলো:
আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি
১. সীমান্ত হত্যা, ভূমি দখল, পানির বণ্টনে বৈষম্য এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপসহ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর রাষ্ট্রীয় অবস্থান নিতে হবে।
২. পিলখানা, শাপলা চত্বর, জুলাই, মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠা গণহত্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৩. গুম, খুন, মামলা, হামলা, অর্থপাচার ও লুটপাটে জড়িত আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
ঘোষিত কর্মসূচি:
১ জুলাই: ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল।
২-৩০ জুলাই: ভারতীয় আগ্রাসন, গণহত্যা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ৮ বিভাগীয় শহর ও ২০টি সাংগঠনিক জেলায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি।
৩১ জুলাই: আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল।
৫ আগস্ট: ‘বাংলাদেশের নাজাত দিবস’ পালন এবং শোকরানা নামাজ।
৬ আগস্ট: ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি।
সংবাদ সম্মেলনে জাগপা নেতারা বলেন, “আমরা সংস্কার চাই, ভারতীয় প্রভাবমুক্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। তবে তার আগে চাই ন্যায়বিচার ও জাতীয় মুক্তি।”