শুল্ক আলোচনায় বেশ কিছু বিষয়ে একমত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তিনদিনব্যাপী চলমান আলোচনা দ্বিতীয় দিনে বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে এক ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় দুই দেশের প্রতিনিধিরা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের গতি-প্রকৃতি তুলে ধরেন এবং এর ভিত্তিতে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে আলোচনা এগিয়ে যায়। বেশ কিছু বিষয়ে দুই দেশ মোটামুটি একমত হয়েছে, তবে কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএমপির সাবেক ৯ ওসি
আলোচনার দ্বিতীয় দিন ছিল বৃহস্পতিবার (ওয়াশিংটন সময় অনুযায়ী)। আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিন শুরু হবে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায়।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের একান্ত বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ (USTR) অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে। গ্রিয়ার সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার গুরুত্বপূর্ণ একজন নীতিনির্ধারক। বৈঠকে শুল্ক ইস্যুর পাশাপাশি বাণিজ্য ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উন্মুক্ত ও আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনার প্রিজম দিয়ে বাংলাদেশকে দেখায় ভারতকে মূল্য দিতে হচ্ছে
প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্যমতে, বাংলাদেশ কেবল যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়াতে চায় না, বরং আমদানিও বাড়ানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “শুল্ক নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে এবং পরিবেশ যেন বাংলাদেশের জন্য প্রতিযোগিতামূলক থাকে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রিয়ার।”
বাংলাদেশ পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা।
তিন দিনের এই শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর একটি যৌথ বিবৃতি বা চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলোচনা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।