অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি
গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার বিকেলে দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গণ অভ্যুত্থান আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিষ্ঠুর হামলার মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), পুলিশ এবং গণমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএমপির সাবেক ৯ ওসি
সরকারের ভাষায়, “নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগপন্থী কর্মীদের এই জঘন্য তাণ্ডব কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। তাদের বিনা বিচারে ছেড়ে দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর সহিংসতা চালানোর সুযোগ কারও নেই।”
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশংসা জানানো হয়। একইসঙ্গে হুমকি ও হামলার মধ্যেও সমাবেশ পরিচালনা করায় আয়োজকদের সাহসিকতারও প্রশংসা করা হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনার প্রিজম দিয়ে বাংলাদেশকে দেখায় ভারতকে মূল্য দিতে হচ্ছে
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুর থেকে গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে একাধিক দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত চারজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং রাত ৮টা থেকে পুরো জেলায় কারফিউ জারি করা হয়।