নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেড় লাখ পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ লক্ষ্যে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: এই ঘৃণ্য কাজে জড়িতদের বিচারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, নির্বাচনের সময় যেকোনো পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, “অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব। আসন্ন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
পুলিশ সদর দফতরের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ও আইনবিদদের পরামর্শ নিয়ে মোট নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর নেতৃত্বে তৈরি এসব কোর্স পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: আমরা কি জুলাই আন্দোলনে ললিপপ খাচ্ছিলাম: রিজভী
দেশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রশিক্ষণকে কার্যকর করতে তৈরি করা হয়েছে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম এবং একটি তথ্যবহুল বুকলেট।
গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে প্রথম পর্যায়ে ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আরও ১,২৯২ জন ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স’ (টিওটি) তৈরি করা হবে। এরা পরবর্তীতে মাঠপর্যায়ের দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
কর্মসূচির অন্যতম আকর্ষণ বাস্তবমুখী মহড়া। নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রতিটি ট্রেইনারকে এ ধরনের মহড়ায় অংশ নিতে হবে।
আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, এই ব্যাপক প্রস্তুতির মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
