শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৮ অপরাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ

এর আগে, গত ২৬ আগস্ট নবম দিনের শুনানিতে পাঁচজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। তারা হলেন— স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক ডা. মোস্তাক আহমেদ, ফেনীর ব্যবসায়ী আহত নাসির উদ্দিন এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা মো. সাঈদুর রহমান। এখন পর্যন্ত মোট ২৯ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দি শেষে তাদের জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন কারাগারে

এর আগে অষ্টম, সপ্তম, ষষ্ঠ, পঞ্চম ও পূর্ববর্তী দিনগুলোতে শহীদ পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকসহ বহু সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার শুরু থেকে শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের স্বজন হারানোর বেদনাময় স্মৃতি ও আন্দোলনে আহত হওয়ার করুণ অভিজ্ঞতা আদালতে তুলে ধরছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও আসামি ছিলেন। তবে তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষীরা জবানবন্দি দিচ্ছেন।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মামলায় সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।